প্রকৃতি-পালন বিতর্ক বলতে কী বোঝায়?

একজন ব্যক্তির বৃদ্ধি ও বিকাশে বংশানুক্রম এবং পরিবেশ এবং বংশানুক্রম ও পরিবেশের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এই ঘটনার সাথে কিছু বিষয় এবং বিতর্ক জড়িত।

Key Points 

প্রকৃতি বনাম পালন

• প্রকৃতি বনাম পালন বিতর্ক মনোবিজ্ঞানের অন্যতম প্রাচীনতম বিষয়। এই বিতর্কটি মানুষের বিকাশে জেনেটিক উত্তরাধিকার এবং পরিবেশগত কারণগুলির আপেক্ষিক অবদানের উপর কেন্দ্রীভূত।
• ‘প্রকৃতি’ শব্দটি জেনেটিক প্রভাব এবং বংশানুক্রমের মাধ্যমে শিশুদের কাছে আসা বিষয়গুলির জন্য ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ এটি শিশুটি গর্ভধারণের সময় থেকেই তার নিজের মধ্যে বিদ্যমান কারণগুলির প্রভাবকে বোঝায়।
• অন্যদিকে, ‘পালন’ শব্দটি শিশু বিকাশে পরিবেশের প্রভাবকে বোঝায়, অর্থাৎ আমরা কারা তা প্রভাবিত করে এমন সমস্ত প্রাসঙ্গিক কারণ, সহ আমাদের শৈশবকালীন ধারণা, আমাদের সামাজিক সম্পর্ক এবং আমাদের চারপাশের সমাজ। এটি বহির্মুখী শক্তি, প্রভাব এবং অবস্থাকে বোঝায় যা একজন ব্যক্তির বৃদ্ধি ও বিকাশে প্রভাব ফেলে।
• অন্য কথায়, প্রকৃতি বনাম পালন নিয়ে বিতর্কটি এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যে মানুষের আচরণ পরিবেশ দ্বারা নাকি কোন ব্যক্তির জিন দ্বারা প্রভাবিত হয়।
• বংশানুক্রম এবং পরিবেশ উভয়ই শিশুদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোনও ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য হল জিনগত এবং পরিবেশ উভয়েরই ‘ফলাফল’। বংশানুক্রম সম্ভাব্য জৈব সীমা নির্ধারণ করে, অন্যদিকে পরিবেশ সেই স্তর নির্ধারণ করে যতদূর বিকাশ সম্ভব।

অতএব, প্রকৃতি-পালন বিতর্ক বোঝায় জিনগত এবং পরিবেশ।